২৯৬ বছরের প্রথা মেনে টাকি রাজবাড়ির বিসর্জন প্রস্তুতি শুরু, ইছামতীর উদ্দেশে রওনা দিলেন উমা
'নবমীর নিশি'র কাছে আর্জি ছিল তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না যাওয়ার.. তবে প্রতিবারের মতোই সেই রাত পোহাতেই বিসর্জনের বোল বাংলার সর্বত্র।
'নবমীর নিশি'র কাছে আর্জি ছিল তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না যাওয়ার.. তবে প্রতিবারের মতোই সেই রাত পোহাতেই বিসর্জনের বোল বাংলার সর্বত্র। এদিন, সকাল থেকেই প্রথা মেনে উমার বিদায়ের প্রস্তুতিতে মেতে ছিল টাকির জমিদারবাড়ি। সিঁদুর খেলা , উলুধ্বনি,মিষ্টিমুখে রাজকীয় আড়ম্বরে ঘরের মেয়ে উমাকে এদিন বিদায় জানিয়েছেন টাকি রাজবাড়ির সদস্যরা।
রীতি মেনে বিজয়া
প্রাচীন রীতি মেনে আজও সাবেকিয়ানায় যেমন পুজো হয় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনার ছোট্ট শহর টাকির জমিদার বাড়িতে। তেমনই এখানে উমার বিদায় দেওয়াও হয় প্রাচীন রীতি মেনে। এদিকে, ইছামতি নদীর মাঝ বরাবর চলছে কঠোর নিরাপত্তা ,যাতে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলা প্রবেশ করতে না পারে ।
মিষ্টি মুখে উমার কৈলাসযাত্রা
বাড়ির লক্ষ্মীর ঝাঁপিটা শেষ বারের মতো মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে আনার মধ্যে, বাড়ির মহিলারা দীর্ঘ যাত্রার আগে মাকে কিছু খাইয়ে দেওয়ার পর মা যাত্রা শুরু করেন।
কিছু প্রথা
স্থানীয়রা বলছেন, 'কথিত আছে টাকির জমিদারদের লাঠি, আর গোবরডাঙার জমিদারদের হাতি...' আজ সে সবই ইতিহাস। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির কোন সদস্য এখন আর এখানে থাকেন না। তবে পুজো ক'টাদিন সদলবলে সকলেই হাজির হন এখানে।
রাজবাড়ির ইতিহাস
টাকির পুবের বাড়ি নামে পরিচিত, এই বাড়িতেই প্রায় তিনশো বছরেরও আগে থেকে ধারাবাহিক ভাবে হয়ে মায়ের বিসর্জন আসছে সূর্য সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে। ইছামতী নদীর ধারে টাকির এই পোড়ো জমিদার বাড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আসছে। জমিদারদের ঘটে আজও হয় মায়ের বিসর্জন।